শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কাজের বিনিময়ে কারও পকেট ভারী করার কোনো সুযোগ নেই। আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, শতভাগ স্বচ্ছতা এবং সততার সঙ্গে এ কাজগুলোর নির্মাণ প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করছি। এখানে কোনো নয়-ছয়ের সুযোগ নেই।’
আজ শনিবার সকালে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় মন্ত্রী জানান, প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন মাসে। জনভোগান্তি এড়িয়ে সময়মতো শেষ হবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ।
রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ইপিজেট পর্যন্ত চার লেন বিশিষ্ট ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্প ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। রাজধানীর উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর হয়ে ধউর, বড় আশুলিয়া, জিরাবো, বাইপাইল হয়ে সাভার ইপিজেডে শেষ হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি।
প্রকল্পের নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী জানান, এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করতে ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। আর, বাকি প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার অর্থায়ন করবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। প্রকল্পটির ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন যথাসময়ে নির্মাণকাজ শেষ করবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন মাসে। অর্থায়ন সহযোগী চীন সরকারের সঙ্গে জি টু জি চুক্তির ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।’
একই সঙ্গে সেতুমন্ত্রী জানান, আগামী বছরের জুনে উদ্বোধন করা হবে পদ্মাসেতু। একই বছরে কর্ণফুলী টানেল ও মেট্রোরেলও চালু হবে।
এ সময় জনভোগান্তি এড়িয়ে সময় মতো ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন ওবায়দুল কাদের।