সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীদের জন্য হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর ৬টি প্রতিষ্ঠান বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু করে। তাদের অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। আজ ট্রায়ালের পর কোনও ত্রুটি না থাকলে ল্যাবগুলো ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
শুক্রবার ৬টি প্রতিষ্ঠান যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ সম্পন্ন করেছে। ল্যাবের গুণগত মান মনিটরিং করতে আইইডিসিআর’র সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ছাড়া কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত এই কমিটি আজ ল্যাব পরিদর্শন করবে। কমিটির সদস্যরা ল্যাবে কোনও ত্রুটি না পেলে সেটা ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত হবে। এরপর যেকোনও সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এয়ারলাইন্সগুলোর ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিতে পারবে।
বিগত তিন মাস নিষেধাজ্ঞার পর গেলো ৪ আগস্ট বাংলাদেশসহ ছয় দেশের যাত্রীদের ট্রানজিট সুবিধা চালু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে দেশটিতে প্রবেশের জন্য শর্ত দেওয়া হয়, ফ্লাইট ছাড়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ল্যাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাতের মধ্যে তারা রেডি হয়ে যাবে। এরপরই এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চালু করবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরে ল্যাব পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় তিনি জানান, শনিবারের মধ্যেই পিসিআর ল্যাব থেকে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, ১৫ সেপ্টেম্বর সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব বসাতে অনুমোদন দেয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল এই কাজ থেকে সরে আসে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ঢাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।