সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব চাওয়ার চিঠি অপ্রত্যাশিত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব চাওয়ার বিষয়টি অপ্রত্যাশিত।  এ বিষয়ে আমি আগে থেকে কিছু জানতাম না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব চাওয়ার চিঠির ব্যাপারটি সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।

এসময় সাংবাদিক নেতাদের বক্তব্য শুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। ঘটনাগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে হয়েছে। আসলে আমারও জানা ছিল না। তথ্যমন্ত্রী মহোদয়ও বোধহয় জানতেন না কিছু।

তিনি আরও বলেন বলেন, ‘এ ঘটনা আসলে কীভাবে ঘটলো সে বিষয়ে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি।  তিনিও আপনাদের মতো একটি চিঠির কথা বলেছেন। সেই চিঠির উৎপত্তিটা কোথায় সেটি আমি দেখেছি।  আমার মনে হয় একটা ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে চিঠিটা গেছে।  আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এভাবে চিঠি দেওয়া উচিত হয়নি।  এটা নিয়ে আমরা একটু দেখে নিই।  কোথা থেকে কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।’

১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যে চিঠি দিয়েছে তাতে অবশ্যই আপনাদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে আপনারা মনে কষ্ট পেয়েছেন, ব্যথা পেয়েছেন।  আমরা সেই জায়গাটায় কিছু না করতে পারলেও ভবিষ্যতে যাতে এ রকম না ঘটে সেটি লক্ষ রাখবো। আমি সবার সঙ্গে আলাপ করছি।  এনএসআই, সিআইডি, এসবি, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যদের সঙ্গে আলাপ করছি।  তাদের নিয়ে বসবো।  যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, কুদ্দুস আফ্রাদ, সাজ্জাদ হোসেন তপু, ওমর ফারুক, আব্দুল জলিল ভূঁইয়া  প্রমুখ।

এ সময় সাংবাদিক নেতারা বলেন, ব্যক্তির নামে সরকার প্রত্যেকেরই হিসাব চাইতে পারে।  কিন্তু  এখানে সাংবাদিক সংগঠনের নেতা পরিচয়ে চাওয়া হয়েছে।  সরকারের নীতিনির্ধারকদের না জানিয়ে কেন সংগঠনের পরিচয়ে চাওয়া হলো? তাছাড়া কোন সংস্থা চেয়েছে তাও জানানো হয়নি। যখন চাওয়াই হয়েছে তখন যেন কী পাওয়া গেলো সেটাও জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img