আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী দিনের রাজনীতি হবে জ্ঞাননির্ভর, সেজন্য ছাত্র রাজনীতিকে জ্ঞান এবং মূল্যবোধের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
শুক্রবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শিক্ষা দিবস উপলক্ষে দলটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন কমিটি আয়োজিত “শিক্ষাঃ ২০৪১ সালের লক্ষমাত্রা অর্জনের বাস্তবিক কৌশল” শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আহবান জানান।
পরীক্ষার্থী নয়, চাই শিক্ষার্থী, জীবিকা নয়, জীবনের জন্যই শিক্ষা প্রয়োজন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বাস্তবতা শিক্ষক -অভিভাবক – শিক্ষার্থী ও নীতিনির্ধারকদের সবার আগে উপলব্ধি করতে হবে।
শিক্ষা দিবস নিয়ে ছাত্র সংগঠনের কোন কর্মসূচি না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকের দিবসটা ছাত্র সমাজের জন্য অপরিহার্য, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন নিয়ে আজ কয়জনে জানে? তা জানা নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রনেতারা এখন তাদের ক্যাম্পাস, শিক্ষা, শিক্ষার সমস্যা এমনকি কোন সংগঠন এই দিবসের তাৎপর্য নিয়ে কোন সেমিনারও করে না। তিনি বলেন, এ ধারা চলতে থাকলে ছাত্র সংগঠনগুলোর জৌলুস হারিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই মুহূর্তে জরুরি হচ্ছে গবেষণা নির্ভর হয়ে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে নতুন কলাকৌশলে এগিয়ে যাওয়া।
মেধাবীদের মেধার মূল্যায়ন করতে হবে, কোন নেতাদের তদবিরে নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার মান যেমন বাড়াতে হবে তেমনি শিক্ষকতার মানও বাড়াতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের করোনার এই অতিমারিতে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ঝরে গেছে, স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিছে, তাদের খুঁজে বের করে আবারও শিক্ষাঙ্গনমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন না, তিনি ভাবেন আগামী প্রজন্ম নিয়ে, আর এটাই হওয়া উচিত বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন পরবর্তী প্রজন্মের কথা মাথায় আছে বলেই তিনি আজ রাষ্ট্রনায়ক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ মাসের শেষেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, হলগুলোতে জীবন যাত্রা কেমন তা দেখতে হবে। হলগুলোতে অছাত্ররা অবস্থান করে, তাদের লিখিত ভাবে হলে থাকা বন্ধ করতে হবে। তিনি এনিয়ে কে খুশি হলো, কে অখুশি হলো তাতে কিছু যায় আসে না।
শিক্ষাকে গুণগত গভীরতায় আনতে হলে এসব সিদ্ধান্ত নিতেই হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
প্রতিযোগিতাময় গ্লোবাল ভিলেজে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা আর প্রযুক্তি মনস্কতায় গড়ে তুলতে হবে নতুন প্রজন্মকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের উদ্যমি তরুণদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে সমৃদ্ধ আগামীর জন্য, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার জন্য, শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের জন্য এবং সজিব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য।
শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা মন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর মুনাজ আহমেদ নুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এ এস এম মাকসুদ কামাল, সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাবেক সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব শামসুন্নাহার চাঁপা।