পরী মনির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও হাজিরা ১০ অক্টোবর

আলোচিত চিত্রনায়িকা পরী মনির বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও হাজিরার জন্য আগামি ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে পরী মনি হাজিরা দেওয়ার পর বিচারক এ আদেশ দেন।

এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করায় বিচারক এ দিন ধার্য করেছেন।

এরআগে এদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে একটি কালো রঙের গাড়িতে করে তিনি আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। এরপর লোকজনের ভিড়ে একেবারে নাস্তানাবুদ হতে হয় পরীমনিকে। পরে তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদারের আদালতে হাজিরার জন্য গেলে তার আইনজীবীরা না আসায় এজলাস ছেড়ে চলে আসেন।পরে পরীমনি কিছু সময় এজলাসের পাশে অবস্থান করেন। এসময় তাকে বার বার হাত দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে দেখা যায়। পরে নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে আদালতের হাজতখানায় নেয়া হয়। পরে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি পুনরায় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন।

এসময় পরীমনির আইনজীবী নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভি আদালতে বলেন, যে সাদা গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে সেটি পরীমনির। গাড়ির সকল কাগজপত্র আমরা আদালতে দাখিল করছি। তিনি যেন তার গাড়িটি পান সে অনুরোধ করছি। এছাড়া পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা তার নিত্য প্রয়োজনীয় ফোন, ল্যাপটপ, প্রসাধনী বক্সসহ আরও কিছু জিনিসপত্রের তালিকা আদালতে জমা দিচ্ছি। এগুলো আসামি ফেরত চানম এসময় পরীমনিও আদালতকে তার গাড়ি ও ফোন ফিরে পাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সাদা গাড়িটি আমার। এর সকল কাগজপত্র আছে। গাড়িটি না থাকায় আমি অনেক সমস্যায় পড়েছি। এছাড়া ফোনটি না থাকায় যোগাযোগ করতে পারছি না।

পরে শুনানি শেষে আদালত বিআরটিএ কে গাড়ির কাগজপত্রসহ সকল আলামতের ভিত্তিতে মালিকানা নিশ্চিতে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এরপর আদালত মামলার পরবর্তী হাজিরা ও তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এর আগে মাদক মামলায় গ্রেফতারের ২৬ দিন পর গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত পরীমনিকে নারী, শারীরিক অসুস্থতা ও অভিনেত্রী এই তিনটি বিবেচনায় জামিনের আদেশ দেন। পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার এ জামিন মঞ্জুর করা হয়। পরেরদিন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বনানীর বাসায় প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান শেষে পরীমনিসহ তিনজনকে দেশি বিদেশি মদের বোলত ও এলএসডি মাদকসহ আটক করা হয়। পরে বনানী থানায় র‍্যাব বাদী হয়ে পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

এ মামলায় প্রথম দফায় ৫ আগস্ট চারদিন এবং ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট পরীমনিকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১৬ আগস্ট তাকে তৃতীয় দফায় ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড চান সিআইডি। এ আবেদনে ১৯ আগস্ট শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img