প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশের ৮ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও বিমানবন্দরে বসেনি র্যাপিড পিসিআর ল্যাব। এমনকি শুধুমাত্র শাহজালাল বিমানবন্দরে জায়গা নির্ধারণ করা ছাড়া তেমন কোনো অগ্রগতিও নেই। ফলে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে হাজার হাজার প্রবাসী মাঝে।
বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর বসানোর নির্দেশনা দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রবাসী কল্যাণ, পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও শুরু হয় তৎপরতা। কিন্তু কবে নাগাদ আরটিপিসিআর ল্যাব বসানো হবে বলতে পারছে না কেউ। তবে আপাতত ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে বহুতল কার পার্কিংয়ের তৃতীয় তলায় জায়গা নির্ধারণ করেছে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
বিমান বন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ আল আহসান জানান, বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব বসানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তরাই সবকিছু করবে। আমরা শুধু মনিটর করবো। সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হবে তাদের তরফ থেকে।
বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা সবকিছু করবে। কাজ শুরু করার জন্য বিভিন্ন ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে হবে বলেও জানান তিনি। সব প্রস্তুতি না নিয়ে হঠাৎ করেই কোনো কিছু শুরু করা যাবে না বলেও মন্তব্য তার।
টানা প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পর শর্তসাপেক্ষে বিদেশি কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় মধ্যপ্রাচ্যসহ সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে বাধ্যতামূলক করা হয় নতুন কিছু নিয়ম। ভ্রমণের ৪৮ ঘণ্টা আগে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা এবং যাত্রার ৬ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে র্যাপিড টেস্ট করা বাধ্যতামূলক করা হয় এসব শর্তে।
কিন্তু দেশের বিমানবন্দরগুলোতে করোনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা না থাকায়, বাধ্যতামূলক শর্তসমূহ পূরণ করতে না পেরে কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না অনেকেই। এ নিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি দফায় দফায় মানববন্ধন ও অবস্থান কমর্সূচিও পালন করেছেন প্রবাসীরা।