আলহাজ্ব মুহাম্মদ জমির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
তিনি করোনাকালে সরকারের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে অসহায়, দরিদ্র, দুস্থ, নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও ধারাবাহিকভাবে খাদ্য বিতরণ করছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবেও তার এলাকায় উন্নয়ন ও নিজ দলের ইশতেহার বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন। শিল্পজাত এলাকায় বসবাস করেও তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজ মুক্ত করেছেন নিজের নেতাকর্মীদের। রাজনীতি ও জনসেবায় জমির উদ্দীনের এমন কার্যক্রমে খুশি তার এলাকার সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। তাঁরা বলছেন, ভাগ্যক্রমেই এমন মানুষ পেয়েছেন তাঁরা।
তিনি অসহায়, দরিদ্র, শ্রমজীবী ও করোনায় কর্মহীন মানুষের তালিকা তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছেন আর্থিক সহায়তা ও ত্রাণসামগ্রী। করোনায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা ও আক্রান্তের বাসায় পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য উপহার।
করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দ‚রত্ব নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা সৃষ্টি, লিফলেট ও সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছেন। তার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের কারণে খরণদ্বীপ এলাকা অনেকটাই করোনার সংক্রমণ ও আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে তাঁর সততা ও ন্যায়ের কারণে। রাজনৈতিক কর্মস‚ চির আগে এবং পর গভীর রাত পর্যন্ত অসহায় মানুষের কথা শুনেন নিয়মিত।
জানতে চাইলে খরণদ্বীপ ইউনিয়নের বয়ঃবৃদ্ধ হাজী ওমর আলী বলেন, ‘জনসেবায় তার দৈনন্দিন কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকায় তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং এতে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
আরেক এলাকার বাসিন্দা উপজেলা বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক জীবনে এমন আ.লীগ নেতা ডোর টু ডোর গিয়ে জনসেবা করতে আগে কখনোই দেখিনি। কিন্তু জমির ভাই ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারণ মানুষের খোঁজ নেন এবং সহায়তা করেন।’ এমনকি পুরো ইউনিয়নে তিনি গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের অভিভাবক।
এছাড়াও তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ সংগঠক ব্যক্তিত্ব। শ্রমজীবি খেটে খাওয়া সাধারণ নিরীহ মানুষের সুখ-দুঃখের সর্বসময়ের সাথী। জনস্বার্থে সকল প্রকার উন্নয়ন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তিনি সকলের মাঝে হয়ে উঠেছেন এক তুমুল জনপ্রিয়, একাধারে নেতা ও জনসেবক। যা এক দৃষ্টান্তও বলা যায়। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরেছেন।
স্থানীয় আ.লীগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক এই তুখোড় সাহসী ছাত্রলীগ নেতা, রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী মুজিব সৈনিক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুজিবকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আদর্শের আদর্শিত ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম মহান পুরুষ জননেতা আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দীন আহমেদ এমপি ভাই এর হাতেগড়া কর্মী তিনি। তাঁর নির্দেশনায় তিনি তৃণমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
জমির উদ্দীন আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলাসহ তৃণমূলের সকল স্তরে তিনি এক সময় ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দীন আহমেদের আস্থায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন তিনি।
জানতে চাইলে জমির উদ্দীন বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। পাশাপাশি মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ডঃ হাসান মাহমুদ ও আমার নেতা আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দীন আহমদ এমপি মহোদয় এর দিকনির্দেশনায় খরণদ্বীপ ইউনিয়নকে আরও এগিয়ে নিতে চাই। এমনকি জনগণ আমাকে বিশ্বাস করে আমি এই বিশ্বাস অক্ষরে অক্ষরে পালনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানুষ ও মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।’