তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগান সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের বেশির ভাগই পশ্চিমা দেশগুলোতে কালো তালিকাভুক্ত। কেউ আবার এফবিআই’র মোস্ট ওয়ান্টেড। মার্কিন সেনা অভিযানের সময় কেউ গ্রেফতার হয়েছিলেন, আবার কেউ আত্মগোপনে ছিলেন পার্শ্ববর্তী দেশে।
৯০ এর দশকে কান্দাহারে গভর্নরের দায়িত্ব দেয়া হয় মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে। এরপর ধীরে ধীরে তালেবানের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসে তার নাম। গভর্নর থেকে দায়িত্ব পান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আখুন্দ জাতিসংঘের কালো তালিকাভুক্ত। মার্কিন অভিযান শুরুর পর ছিলেন আত্মগোপনে। তার নেতৃত্বেই এখন আফগানিস্তানে চলবে তালেবান সরকার।
এই সরকারের উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকছে তালেবানের আলোচিত নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। পাকিস্তানের কারাগারে ৮ বছর শাস্তিভোগের পর ২০১৮ সালে মুক্তি পান বারাদর, হয়ে ওঠেন তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান।
তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব পাচ্ছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এতদিন সংগঠনের সামরিক শাখা পরিচালিত হতো তার অধীনেই।
তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানি। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই এফবিআই’র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে তালেবান নেতা আমির মুত্তাকিকে করা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর তালেবানের রাজনৈতিক প্রধান শের মোহাম্মদ স্তানিকজাই হচ্ছেন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে এখনও পুরো মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেনি তালেবান।
গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরও মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। তবে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এনএনআর/