মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান থেকে চলে যেতে না যেতেই উত্তেজনা বাড়ছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে।
সোমবার(৩০ আগস্ট) ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বরাতে এনডিটিভি জানায়, গত এক মাস ধরেই প্রতিদিন উপত্যকাটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বড় ধরণের হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, কাশ্মীরে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ার দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ শিং। সোমবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চ জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই অস্ত্রধারী নিহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে ভারতীয় সেনাদের উপর হামলার পরিকল্পনা করেছিলো অস্ত্রধারীরাজম্মু-কাশ্মীরে এমন হামলার ঘটনা এখন নিয়মিতই ঘটছে। এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানায়, গেল একমাসে প্রতিদিনই নিরাপত্তা বাহিনী ও রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে অস্ত্রধারীরা।
গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে গণমাধ্যমটি আরও জানায়, কাবুলে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই উপত্যকাটিতে অস্ত্রধারীদের আনাগোনা বেড়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যেদিন আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে সেদিন থেকেই কাশ্মীরে নতুন করে অস্থিরতা শুরু হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য গণমাধ্যমকে জানায়, তালেবানের পক্ষে লড়াই করতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে অনেকে যোগ দিয়েছিলো, তারা যুদ্ধ শেষে ফিরে এসে পরিস্থিতি অশান্ত করছে। এমনকি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের অন্তত ৬০ জন যুবক গেল কয়েকমাস ধরে নিখোঁজ থাকায় আরও বেড়েছে উদ্বেগ।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো উদ্বেগ জানালেও জম্মু- কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকার দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তবে, তালেবান আসার পর ওই অঞ্চলে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।এদিকে, কাশ্মীর পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত তখন পাকিস্তানকে হুঁশিয়ার করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে তাদের ভাষায় সন্ত্রাসীদের দমনে অন্য দেশেও অভিযান চালাবে ভারত। এর আগে চলতি মাসেই, কাশ্মীর মুক্ত করতে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করবে তালেবান- এমন মন্তব্য করেছিলেন ইমরান খানের দলের এক নেতা। যদিও বিষয়টি পাত্তা দেয়নি নয়াদিল্লি।