শান্ত হচ্ছে না কাবুল বিমানবন্দর। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় ১৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৩ মার্কিন সেনা ও ২৮ তালেবান সদস্যও রয়েছে।
এরআগে কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্কের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছিল তালেবান।
এ বিষয়ে দুই তুর্কি কর্মকর্তা জানান, কাবুলে থাকা তুর্কি সামরিক বাহিনীকেও আগস্টের শেষ তারিখের মধ্যে পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে।
ইসলামপন্থী তালেবান শর্তসাপেক্ষে কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার অনুরোধ করেছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আঙ্কারা। এমনকি অল্প সময়ের মধ্যে সেনারা কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করতেও প্রস্তুত রয়েছে।
অবশ্য মাসখানেক ধরে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন সরকার বলে আসছে যে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও তারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য কিছু সৈন্য রেখে যাবে। এখন তালেবান কাবুল দখল করার পর তাদেরকে বিমানবন্দরের প্রযুক্তিগত এবং নিরাপত্তা সহায়তা দিতে অনুরোধ করেছে গোষ্ঠীটি।
ক্ষমতা দখলের পর ১৩ দিন চলে গেলেও এখনও পর্যন্ত সরকার গঠন করতে পারেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
এরই অংশ হিসেবে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনার বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনার ব্যাপারে তালেবান যে অনুরোধ করেছে সে বিষয়ে এখনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি আঙ্কারা।
তিনি বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বরের পরে কোন ধরনের নীতি গ্রহণ করা হয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে তার দেশ।
শুক্রবার বসনিয়া-হার্জেগোভিনা যাত্রার আগ মুহূর্তে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান আরও বলেন, কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনায় সহযোগিতা শুরুর আগে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সেখানে যে ধরনের ঝুঁকি তৈরি হবে তা ব্যাখ্যা করা মুশকিল।
বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
এদিকে আফগানিস্তানের কাবুলে ভয়াবহ হামলার পর ফের আফগানদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিমানবন্দরে আরও হামলার তথ্য পেয়েছে পেন্টাগন। এ জন্য তারা সতর্ক রয়েছে। তবে এর শেষ দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।