দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় সিআইডির এএসপিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার (২৫ আগস্ট) ওই মামলায় সিআইডির রংপুরের এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এদিন বিকেল ৫টায় আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে চিরিরবন্দরে মা-ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সিআইডির এক এএসপিসহ চার কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। মা-ছেলেসহ আটকদের দিনাজপুর ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়।
স্বজনরা জানায়, গত সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে চিরিরবন্দরে জোহরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও র্যাবকে জানানো হলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে পুলিশ।
এরমধ্যেই অপহৃত জোহরা বেগমের মেয়ের জামাই কামরুজ্জামানের মোবাইলে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে দশমাইল এলাকায় সন্দেহজনক একটি মাইক্রোবাসকে ঘোরাফেরা করতে দেখে আটক করে স্থানীয় জনতা।
আটক ব্যক্তিদের পুলিশে সোর্পদ করেন তারা। পরে জানা যায় অপহরণকারীরা পুলিশের সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল ফারুক ও একজন মাইক্রোবাস চালক।
অপহৃতদের এক স্বজন বলেন, অপহরণকারীরা মোবাইলে মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা চায়। তারপরে যখন বলা হলো- এত টাকা দিতে পারব না, তখন বলল- তাহলে কমিয়ে দেন। শেষে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। তারা কখনো ডিবি আবার কখনো সিআইডি পরিচয় দিয়েছে।