বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলপূর্ব শান্তি সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমান গুরুতর আহত হন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২৪ আগস্ট তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের পুরো নাম জেবুন নাহার রহমান আইভি। ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই ভৈরবের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। তার পিতা জালাল উদ্দিন আহমেদ ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও মা হাসিনা বেগম একজন আদর্শ গৃহিণী ছিলেন।
আইভি রহমান ১৯৫৮ সালের ২৭ জুন নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন তুখোর ছাত্রনেতা জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ৮ বোন ৪ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। তার একমাত্র ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে কিশোরগঞ্জ-৭ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। আর দুই মেয়ে তানিয়া ও ময়না। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে আইভি রহমান অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বর্ণাঢ্য জীবন শুরু করেন। সদালাপী আইভি রহমান ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মহিলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি ভারতে গিয়ে সশস্ত্র ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে দলের জাতীয় কাউন্সিলেও তাকে একই পদে নির্বাচিত করা হয় এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এর আগে ১৯৮০ সাল থেকে কয়েক বছর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। নারী অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ও সমাজের অবহেলিত শিশু প্রতিবন্ধীদের কল্যাণেও আইভি রহমানের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। আইভী রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকালে বনানী কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেবেন।