করোনাভাইরাসের টিকা চুটি বা বিক্রির ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেছেন, টিকা চুরি করার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। টিকা বিক্রির ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
রাজধানীর দক্ষিণ খানে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে টিকা বিক্রির ঘটনা সামনে আসার পর রবিবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
গত ১৮ আগস্ট দিবাগত রাতে দক্ষিণখাণে ‘দরিদ্র পরিবার সেবা’ নামে একটি ক্লিনিকে অবৈধভাবে করোনাভাইরাসের মডার্নার টিকা দেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক বিজয়কৃষ্ণ তালুকদারকে (৩৭) আটক করে পুলিশ। এ সময় ক্লিনিকটি থেকে মডার্নার টিকার দুটি এম্পুল পাওয়া যায়। এছাড়া মডার্নার টিকার খালি বক্স পাওয়া যায় ২২টি। সেগুলো জব্দ করা হয়।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। সেরাম টিকা পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ায় এখন আমেরিকার মডার্না, ফাইজার ও চীনের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এসব টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার।
এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত দেশে দুই কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন এক কোটি ৬৩ লাখ ৮৬ হাজার ২০৩ জন। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৬৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৬৬ জন।