তালেবানরা আসন্ন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি অস্ত্রের মুখে দখলের পর শনিবার (২১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে এমনটা জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র।
আইনি, ধর্মীয় এবং কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তালেবান নতুন সরকারের রূপরেখা তৈরি করবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে।
দামামা বাজিয়ে দেশ দখলের পর তালেবান আরও আধুনিক চেহারার একটি দেশ উপহার দেওয়ার শপথ করেছে। এর আগে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল অবধি তালেবান আফগানিস্তান শাসন করেছে। আলকায়েদাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে যুদ্ধ পরিচালনা করে।
এদিকে সকল আফগান পক্ষকে নিয়ে একটি নমনীয় ইসলামি সরকার গঠন করা হবে বলে ঘোষণা দেয় তালেবান। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর মুখপাত্র সোহেল শাহিনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছিল আফগান বার্তা সংস্থা শাফাকনা ।
সোমবার (১৬ আগস্ট) শাহিন বলেছেন, আফগানিস্তানে এখন যে সরকার গঠিত হবে তাতে শুধু তালেবান সদস্যরা থাকবেন না বরং সেখানে সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেছেন, আফগানিস্তানের বিখ্যাত সব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নয়া সরকারে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তালেবান।
তালেবানের মুখপাত্র আরও বলেন, এতদিন ধরে আফগান সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ সব নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত যে কেউ তার অস্ত্র সমর্পণ করে তালেবানে যোগ দেবে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে জানায়, ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পালিয়ে যাওয়ার পর কোনো কোনো সূত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার পরিষদ গঠনের খবর দিয়েছিল।
ওই পরিষদের বাকি দুই সদস্য হিসেবে সাবেক মুজাহিদ কমান্ডার গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার ও গনি সরকারের শান্তি বিষয়ক উচ্চ পরিষদের প্রধান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
কিন্তু তালেবান নেতারা ঘোষণা করেছেন, তারা কোনো অন্তর্বর্তী সরকার বা পরিষদ মানেন না। তারা সরাসরি পরবর্তী সরকার গঠন করবেন।
এর আগে তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম সোমবার (১৬ আগস্ট) আল জাজিরাকে জানান, তারা অতিসত্বর আফগানিস্তানের নতুন সরকার সমন্ধে সবকিছু পরিষ্কার করে জানাবে।
মোহাম্মদ নায়েম বলেন, আল্লাহকে ধন্যবাদ, দেশে যুদ্ধের অবসান ঘটেছে। আমরা সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক চাই। তিনি বলেন, আমরা যেখানে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম সেখানে পৌঁছেছি। আমরা মানুষের জন্য স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারো ক্ষতি করতে চাই না এবং অন্য কাউকে আমাদের ভূমি ব্যবহার করে কারও ক্ষতি করতে দিতে চাই না।