তালেবান নেতৃত্ব আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নেওয়ার পরপরই সে দেশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিল চীন। আজ আরও এক ধাপ এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল তারা। সেই সঙ্গে তারা শুরু করেছে দর কষাকষিও।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্রে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মুখে সন্ত্রাস দমনের কথা বলে সেই নীতি চীনের বিরুদ্ধে কার্যকর করলে, তার ফল ভালো হবে না। সেই সঙ্গেই চীনা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তালেবান আফগানিস্তানে ফের শক্তিধর হয়ে উঠলে ৯/১১-র মতো ঘটনা ফের ঘটতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে।
তবে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনকে স্বাগত জানালেও এখনই নতুন সরকার নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় তারা। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘আফগানিস্তান নিয়ে আমাদের অবস্থান প্রথম থেকেই স্পষ্ট। তবে তালেবান নেতৃত্ব সেখানে কীভাবে সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ছে, এখন সেটাই দেখার।’
অর্থাৎ নতুন সরকার গঠনের আগে আপাতত আফগানিস্তান নিয়ে ‘ধীরে চলো নীতি’ নিয়েছে শি জিন পিংয়ের সরকার।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনের সাহায্য চায়, সে ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে বিষয়টি নিয়ে ‘আন্তরিক’ হতে হবে। অর্থাৎ মুখে এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে, পরে সেই কথা থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিলে তার ফল ওয়াশিংটনকেই ভোগ করতে হবে।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-কে ফোন করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ওই মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চীনের সহযোগিতা প্রার্থনা করেছে জো বাইডেন প্রশাসন। দোহার শান্তি আলোচনায় চীনের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব।