তালেবানের সঙ্গে আফগানিস্তান দখল করে নিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক আফগানিস্তানের পথে রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
শনিবার (১৪ আগস্ট) ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে ১৫ আগস্টের নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিফিংয়ে এ সব কথা বলেন তিনি।
আফগানযাত্রায় বেশ কয়েকজনকে ভারত সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, কয়েকজন এখন হেঁটে আফগানিস্তানের পথে রয়েছেন। আমরা এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছি।
পশ্চিম আফগানিস্তানের প্রধান ও দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতের দখল নিয়েছে তালেবানরা। সম্প্রতি খবর পাওয়া গেছে, যে এলাকাগুলো তালেবানদের দখলে এসেছে নতুন করে, সেখানে বিরোধী সব শক্তিকেই হত্যা করার পথে হাঁটছে তারা। হত্যা করা হচ্ছে যুদ্ধবন্দিদের, রক্ষা পাচ্ছেন না সাধারণ নাগরিকরাও। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন পরিবারের অবিবাহিত নারীদের খোঁজ করে তালিকা তৈরি করছে তালেবানরা। প্রথমে পরিবারগুলোকে বলা হচ্ছে অবিবাহিত নারীদের তাদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। পরিবার রাজি না হলে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওই নারীদের। ভয়ে বাড়ির গোপন স্থানে লুকিয়ে থাকছেন তরুণীরা। বাড়ির বাইরে বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না তারা।
তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমর। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার পর তালেবান উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র ও স্থানীয় বাহিনীর অভিযান শুরু হলে গা ঢাকা দেন তিনি। ২০১৩ সালে মারা যান মোল্লা ওমর। তার অবস্থান এতটাই গোপনীয় ছিল যে, দু’বছর পর তার ছেলে এই খবর নিশ্চিত করার আগে বাইরের দুনিয়ার কেউ জানতই না মারা গেছেন তালেবানের প্রধান।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সাথে সাথেই আবার সামরিক উত্থান ঘটেছে তালেবানের। ইতোমধ্যেই তারা দেশটির বড় একটি অংশ দখলে নিয়েছে। ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ১৮টিই এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে।