ভারতের সর্বত্রই এখন অক্সিজেনের হাহাকার, প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে অক্সিজেন না পেয়ে। দিল্লি ও মুম্বাইয়ের অবস্থা সবচেয়ে বেগতিক।
দেশটির বিভিন্ন শহরে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানের সামনে ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে লাইন। কিন্তু অনেক দোকানেই নেই অক্সিজেন। একদিকে করোনায় হাজার হাজার মৃত্যু অন্যদিকে বিনা চিকিৎসা। সব মিলিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে ভারত।
এদিকে, দিল্লির নামিদামি হাসপাতালগুলো অভিযোগ করেছে চাহিদাপত্র দেওয়া হলেও সরকার পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করছে না। টেলিফোন করে অক্সিজেন চাওয়া হলেও অপর প্রান্ত থেকে ধেয়ে আসছে খারাপ ভাষা। যার জেরে ক্ষুব্ধ চিকিৎসক থেকে আদালত। তাই আদালতের হুঁশিয়ারি অক্সিজেন নিয়ে কোনো গাফিলতির প্রমাণ মিললেই দেওয়া হবে ফাঁসির সাজা।
অক্সিজেনের জোগান এবং দেশে সহজলভ্য করতে মোদি সরকার শনিবার থেকেই বিদেশ থেকে আমদানি করা অক্সিজেন এবং সিলিন্ডারের ওপর থেকে ১২ শতাংশ আমাদানি শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। এতে বাজারে অক্সিজনের দাম কমবে বলে মনে করছে দেশটির সরকার।
দিল্লিজুড়ে করোনায় মৃতের হারের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই এভাবেই রাজধানীর বিভিন্ন গোরস্থানে গণকবর খুঁড়তে দেখা যায়। একই সঙ্গে গণহারে সৎকার চলে শহরের প্রধান শ্মশানগুলোতেও।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (২৫ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৩৯০ জন এবং নতুন করে ৮ লাখ ২১ হাজার ৬৭৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ লাখ ১২ হাজার ৭৫২ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ৭০ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮৯ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ কোটি ৫০ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৮ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৬৫৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮০ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৭৬৯ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৯২ হাজার ৩১৯ জন।