চীনে কানাডার নাগরিকের কারাদণ্ড, প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীনের আদালতে কানাডার নাগরিকের সাজায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ।

কানাডার এক ব্যবসায়ীকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১১ বছর কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন চীনের আদালত।  বার্তা সংস্থা এএফপির সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১১ আগস্ট) দেওয়া হয় এ রায়।

এদিকে এ রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।  চীনের আদালতের দেওয়া এ কারাদণ্ডকে ‘একেবারেই ভিত্তিহীন’ অভিহিত করে ওই ব্যবসায়ীর অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন তিনি।

কানাডার নাগরিক মাইকেল স্প্যাভরকে এ কারাদণ্ড দিয়েছেন চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের ডানডং শহরের একটি আদালত। রায় ঘোষণার পর আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্প্যাভর গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন এবং অবৈধভাবে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার করেছেন।  এ অপরাধে তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

চীনে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত ডমিনিক বার্টন জানিয়েছেন, সাজা শেষ হওয়ার পর দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে চীন। স্প্যাভরের সম্পদ থেকে ৫০ হাজার ইউয়ান বাজেয়াপ্ত করার ও নির্দেশ দেন আদালত।
গত বছরের জুনে স্প্যাভর ও কভরিগের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়।  এরপর গত মার্চে তাদের পৃথক বিচার শুরু হয়।  কভরিগের মামলার এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কানাডার ব্যবসায়ী মাইকেল স্প্যাভরকে ২০১৮ সালে আটক করে চীন।  তার সাথে কানাডার সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কভরিগকেও গ্রেফতার করা হয়।  এই দু’জন কে গ্রেফতারের পর কানাডা একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছিল।  গত বছরের জুনে স্প্যাভর ও কভরিগের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে চীন।  একই বছরের মার্চে পৃথকভাবে তাদের বিচার শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝুকে গ্রেপ্তার করেছিল কানাডা।  ২০১৮ সালে কানাডার ভ্যাংকুভার বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  চীনও তখন এ ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছিল।  এর পাল্টা জবাবে নাগরিক কভরিগ ও স্প্যাভরকে গ্রেপ্তার করে চীন।  এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কানাডা ও চীনের আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের চরম অবনতি হয়।

চীনের আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের অভিযোগ ও রায় সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং অন্যায়।  প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এ অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াও স্বচ্ছ ছিল না।

এদিকে এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।  রায়ের পর বেইজিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কানাডার নাগরিকদের বিরুদ্ধে চীনের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ‘মানুষকে কূটনৈতিক দরকষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের’ চেষ্টা।
- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img