বিশ্বের অধিকাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের বাইরে রেখে ধনী দেশগুলোর বুস্টার ডোজের পরিকল্পনায় মহামারি শেষ হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা মহামারির ইতি টানতে ১১শ’ কোটি ডোজ টিকার দরকার। এর মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে ১৩৮ দেশে ১৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এতে ভাইরাস মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র ভ্যাকসিন প্রাপ্তির ভিত্তিতে বিশ্বে বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
ধনী দেশগুলোতে যেখানে শতভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা গেছে, সেখানে দরিদ্র দেশগুলোতে প্রতি ১০০ জনে মাত্র টিকার ১ দশমিক ৫ ডোজ। এমন অবস্থায় করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রুখতে ধনী দেশগুলো বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনায় কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধের রূপ বদলে যাচ্ছে।
কেবল ভ্যাকসিন নয়, করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো বিশাল আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে।
বিশ্বের এক প্রান্তে ভ্যাকসিন নিয়ে যখন সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে, তখন অন্য প্রান্তে ভ্যাকসিনের অভাবে প্রতিদিনই মানুষ মরছে। আফ্রিকায় কেবল ৪ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার আওতায় এসেছে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় ভ্যাকসিনের সংকট থাকায় সেখানেও বেড়েই চলেছে সংক্রমণ।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশেই মৃত্যুর মিছিল থামাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ভ্যাকসিন ছাড়া কমানো যাবে না সংক্রমণ। অন্যদিকে উন্নত দেশের মতো জনগণকে দেওয়া যাচ্ছে না বিশাল আর্থিক প্রণোদনা। ফলে বিধিনিষেধ আরোপ করে ঘরবন্দি রাখা যাচ্ছেনা মানুষকে।
বিশ্বজুড়ে টিকা বৈষম্য কমাতে বুস্টার ডোজ আপাতত বন্ধ রাখতে আহ্বান জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে তা নাকচ করে দেয় ফ্রান্স-জার্মানি। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে একলা চলো নীতিতে এই মহামারি সামাল দেওয়া কি সম্ভব?