প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রণোদনা চেয়ে সমমনা শ্রমজীবী সমবায় সমিতির সংবাদ সম্মেলন

বর্তমান মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে আর্থিক অবস্থা সংকটাপূর্ণ হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রণোদনা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্রমজীবী মানুষ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদান সহযোগিতাকারী প্রতিষ্ঠান সমমনা শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিঃ।

শনিবার (৭আগষ্ট) বিকাল ৪টায় নগরীর চকবাজারস্থ প্রতিষ্ঠানের নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কনোজ কুমার শীল।

এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের এ ক্রান্তি লগ্নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অভিভাবক। তিনি বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি নিষেধ এবং ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে ঋণ গ্রহীতাদের নিকট হতে ঋণ আদায় না করার জন্য যে আদেশ দিয়েছেন, তা আমরা যথাযথ ভাবে পালন করে যাচ্ছি। এতে করে প্রতিষ্ঠান গুলো আর্থিক সংকটাপূর্ণ অবস্থায় হয়ে পড়েছে। এই অশনী সংকটাপূর্ণ অবস্থা হতে তিনি আমাদের উদ্ধার করতে পারবেন বলে আমরা মনে করি। বর্তমান দেশের এ নাজুক অবস্থায় আমরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আমরা পারছিনা গ্রাহকদের কাছ থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণকারীদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করতে। কারণ একদিকে সরকারি আদেশ পালন অন্যদিকে গ্রাহকরা চলমান লকডাউনের কারণে দৈনন্দিন কিস্তি প্রদান করতে অপারগতা প্রকাশ করছে। আবার যারা প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয়ীতে আছে তাদের অর্থ সংকট থাকায় তারা লভ্যাংশ সহ ফেরত চাইছে। এতে করে উভয় সংকটের মধ্যে আছে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলো।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে ৫’শ জনের মতো গ্রাহক রয়েছে। এসব নিয়ন্ত্রণে ১৫ জন মাঠকর্মীর বেতন ও অফিসের অন্যান্য মাসিক খরচ সহ মোট দুই লাখ টাকা। দৈনিক ঋণের টাকা আদায় করতে না পারায় ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠান। ২০১৬ সালের দিকে আমরা চারজন মিলে এ প্রতিষ্ঠান শুরু করি এবং সমবায় অফিসের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন করে সমিতির কার্য পরিচালনা শুরু করি। তীলে তীলে গড়া আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সহ এমন অনেক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ধ্বংসের সম্মুখীন। এখান থেকে উত্তরণের জন্য সরকারী প্রণোদনার কোনো বিকল্প পথ নাই। এবিষয়ে সমবায় অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা এসব বিষয়ে সরকারি হতে কোনো ধরণের নির্দেশ পাননি বলে জানান। প্রতিষ্ঠান চলাকালীন দৈনিক কত টাকা সঞ্চয় ও ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে ঋণ আদায় হয় এবং কত টাকা সরকারি ভাবে প্রণোদনা চাইছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রতিষ্ঠান চলাকালীন আমাদের দৈনন্দিন সঞ্চয় এবং ঋণ মিলে ৪৫ থেকে ৫০ হাজারের মতো আদায় হয়। এতে করে আমাদের প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মী এবং গ্রাহকদের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয় না। বর্তমানে আমাদের এ ক্ষতি পূরণ সামলাতে আমাদের ৩০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। তাই আমাদের মতো ক্ষুদ্র উদ্যেক্তাদের অসহায়ত্বের দিক বিবেচনা করে প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে এই ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীর সাথে জড়িত লক্ষ লক্ষ পরিবার বেঁচে যাবে। তাই অজস্র দরিদ্র মানুষের আশার প্রদীপ এবং অসংখ্য বেকার নারী পুরুষের কর্মস্থল রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রণোদনার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাকলিয়া রেসিডিয়েন্স স্কুলের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্জ্ব মোহাম্মদ শফি, মোহাম্মদ তারেক সুলতান, এস এম মোক্তার হোসেন, প্রতিষ্ঠানের সহসভাপতি বিধান শীল ও সদস্য সচিব দোলন শীল।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img