ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট সাঈদ ইব্রাহীম রাইসি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান সব সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে জানায়, শুক্রবার (৬ আগস্ট) তেহরান সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই অঙ্গীকার করেন।
এ সময় তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে তেহরানের সহযোগিতা শক্তিশালী করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিদ্যমান সুযোগ ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে সম্পর্ক আরো উন্নত করা গেলে তাতে দুদেশের জনগণই লাভবান হবে।
এ সময় প্রেসিডেন্ট রাইসি বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের সুপ্রাচীন সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন । বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রাইসি দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ভিত্তিতে উভয় দেশে যৌথ পুঁজি বিনিয়োগেও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এছাড়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাইসি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্যাতিত মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতার কাজে ইরান সাধ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
এছাড়া প্রেসিডেন্ট রাইসির দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ও সহযোগিতা শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
উল্লেখ, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য তিন সদস্য নিয়ে তেহরান সফর করেন শাহরিয়ার আলম।
সাঈদ ইব্রাহীম রাইসি ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইরানের মাসাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ২০ বছর বয়সেই কারাজ শহরের প্রধান প্রসিকিউটরের দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর থেকেই ইরানের বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাইসি। বিচারব্যবস্থার ওপর অর্জন করেছেন উচ্চতর ডিগ্রি।
১০ বছর ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৪ সালে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাইসি। এরপর ২০১৬ সালের এপ্রিলে সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে পার্লামেন্টের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে যোগদান করেন।
এরপর ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিলেও মধ্যপন্থি নেতা হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হন তিনি। তবে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সমর্থন নিয়ে সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিপুল জয় পান ৬১ বছর বয়সী সাঈদ ইব্রাহীম রাইসি।