১৮ বছর উর্ধ কেউ টিকা থেকে বাদ পড়বেন না: মেয়র রেজাউল

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আগামী ৭ আগস্ট থেকে পরবর্তী ছয় দিনে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৬শ ডোজ করে দেড় লক্সাধিক ডোজ মর্ডানা কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে বলেন, সরকার সামর্থ্য ও সক্ষমতার সর্বশক্তি দিয়ে কোডিভ-১৯ সংক্রমণ রোধে টিকাকে সর্বসাধারণের দ্বোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে পেরেছে।

এর আওতায় নগরীতে যারা টিকা নিতে ১৮ বছরের উর্দ্ধে যৌগ্য বা আগ্রহী তারা কেউ বাদ পড়বে না। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর উর্দ্ধগতি হারের মধ্যেও এটা শুভ ও স্বস্তিদায়ক বার্তা।

তিনি আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউ হলে অনুষ্ঠিত মর্ডানা (কোভিড-১৯) ভ্যাক্সিনেশন গ্রহণ ও প্রয়োগ সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনের প্রায়োগিক কর্মপদ্ধতি তুলে ধরে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথে প্রতিদিন ২শ করে কমপক্ষে ৬শ ডোজ টিকা দেয়া হবে। প্রতিটি বুথে ২জন প্রশিক্ষিত ভ্যাক্সিনেটর ও ৩জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে সিনিয়র সিটিজেন, নিবন্ধনকৃত নাগরিক, আবেদনকৃত নাগরিক ও কাউন্সিলরদের কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারীরা টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, সোমবার থেকে স্বা স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছে সরবরাহকৃত ফর্মে যে-কেউ আবেদন করতে পারবেন।

মেয়র কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেনিং কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ মুখ্য বিষয়। কারণ তারা এলাকাবাসীর ভাল-মন্দ ও সুবিধা-অসুবিধার সাথে সরাসরি যুক্ত।

ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পেইনিং কার্যক্রম সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের জন্য একটা বড় ধরণের সুযোগ। তারা এলাকাবাসীর ভোটে নির্বাচিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে এই কাজটি ভাল ভাবে সম্পাদন করতে পারলে সকলের বিশ্বাস ও আস্থাভাজন হতে পারবেন। চসিক নগরীতে প্রথম পর্যায়ে ভ্যাক্সিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা সফল ভাবে পূরণ করতে পেরেছে।

কোরবানীর ঈদের পশুর বর্জ্য ১২ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ ও ডাম্পিং করে নগরীর স্বাস্থ্য বান্ধব পরিবেশ সুরক্ষার সুনাম অক্ষুন্ন রেখেছে। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে কাউন্সিলরদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও অবদানের জন্য।

তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের উর্দ্ধগতির পাশাপাশি ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া বিস্তারের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। তবে এর বিস্তার ঢাকার মত এখনো প্রকট না হলেও এখন থেকে তা প্রতিরোধে সতর্ক হতে হবে। নগরীরর কোথাও, বাসা-বাড়ি, খোলা জায়গায় পরিষ্কার পানি যাতে জমতে না পারে সে দিকে কাউন্সিলদের দেখভাল ও তদারকী করতে হবে।

তিনি মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে ছিটানো ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় ও সরঞ্জামগত অপ্রতুলতা থাকলেও সামর্থ্য অনুযায়ী সবকিছু করা হচ্ছে।

মশার ওষুধের কার্যকারিতা যাচাই-বাছাইয়ে চবি’র প্রাণ রসায়ন, অনুপ্রাণ বিজ্ঞান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের বিশেষজ্ঞদের একটি টিমের গবেষণা প্রতিবেদন আগামীকাল মঙ্গলবার আমাদের কাছে আসবে। এর ভিত্তিতে মশক নিধনে ৩০ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হবে।

স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর সভাপতিত্বে ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম।

সভায় ক্যাম্পেন প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করেন ডা. সরওয়ার আলম। সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, বিভাগীয় প্রধান ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img