গত একদিনে মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে আরও ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ৯১৬ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা গত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে। এ সময়ে শনাক্ত হন ১৪ হাজার ৮৪৪ জন। গতকাল ৯ হাজার ৩৬৯ জনের শনাক্তের তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জন।
রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার৫২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হন ১৪ হাজার ৮৪৪ জন, যাতে শনাক্তের হার ২৯.৯৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট গড় হার ১৬.২৩ শতাংশ। গতকাল ছিল ১৬.১৪ ও তার আগের ১৬.০৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩৯ জন ও নারী ৯২ জন। নতুন মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১২৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের দুইজন।
মৃত ২৩১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৭৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, খুলনা বিভাগের ৪০ জন, বরিশাল বিভাগের ৬ জন, সিলেট বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ১১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১৮ জন।
গত এক দিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪ জন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ১০ লাখ ৯৩ হাজার ২৬৬ জন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের উপরে আছে। মোট গড় হার ১৪ শতাংশের উপরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা যায়।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় ২৩ জুলাই থেকে আবার ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন চলছে।