ভারতে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬২৪ জনের। এ সময় নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন। গেল বছরও ভারতে একদিনে করোনায় এত মানুষের মৃত্যু হয়নি। এ অবস্থায় দেশটির করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ভারতে গত কয়েকদিন ধরে সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। দেশটিতে এখন চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখা ২৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৪০ জন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর জায়গা দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। সব মিলিয়ে ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। তবে এ অবস্থাতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৮ জন।
ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ৪৮১ জনে। করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জনের। আর টিকার আওতায় এসেছে দেশটির ১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৭৯ হাজার ৮৩২ জন নাগরিক।
মার্কিন এক গবেষণা বলছে, মে মাসে ভারতে আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে করোনা। ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনায় ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। মার্কিন গবেষণার এই তথ্য ভারতের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদেররাতের ঘুম রীতিমতো কেড়ে নিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভারতে এপ্রিল থেকে অগাস্টের মধ্যে প্রায় তিন লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
ওই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের ১০ মে ভারতে একদিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছুঁতে পারে পাঁচ হাজার ৬০০। ১২ এপ্রিল থেকে ১ অগাস্টের মধ্যে ভারতে মৃত্যু হতে পারে তিন লাখ ২৯ হাজার মানুষের। জুলাইয়ের শেষে এই সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ছয় লাখ ৬৫ হাজার। তবে মে মাসের শেষে নাটকীয়ভাবে কমতে পারে করোনার দাপট, গাণিতিক মডেল তৈরি করে এমন তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এ বিষয়ে আইআইটি কানপুরের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়রের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেন, আমরা দেখেছি যে, ১১-১৫ মের মধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছাতে পারে। ৩৩-৩৫ লাখ ছুঁতে পারে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। তবে এই সংখ্যা দ্রুতহারে কমবে। মে মাসের শেষে নাটকীয়ভাবে কমতে পারে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।