ওয়ানডে সিরিজে হারলেও তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে শ্রীলঙ্কা। সেইসঙ্গে ১৩ বছর পর ভারতের বিপক্ষে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতল স্বাগতিকরা।
কলোম্বোতে বৃহস্পতিবার রাতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ভারত পায় মাত্র ৮১ রানের সংগ্রহ। ৩৩ বল হাতে রেখেই সেই লক্ষ্য টপকে যায় শ্রীলঙ্কা।
টি-টোয়েন্টিতে এদিন প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন শিখর ধাওয়ান। দলীয় মাত্র ৫ রানে ধাওয়ানকে আউট করেন দুশমন্থা চামিরা। এরপর ৩৬ রানের মধ্যেই ৫টি উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় ভারত।
ষষ্ঠ উইকেটে ভুবনেশ্বর কুমার ও কুলদীপ যাদব মিলে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। হাসারাঙ্গার বলে দাসুন শানাকার দুর্দান্ত এক ক্যাচে ভুবনেশ্বর ফেরেন ৩২ বলে ১৬ রান করে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন কুলদীপ। তার ২৮ বলে অপরাজিত ২৩ রানে ভর করে ভারত পায় ৮ উইকেটে ৮১ রানের সংগ্রহ। টি-টোয়েন্টিতে যা ভারতের তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
ভারতকে এই মামুলী সংগ্রহে বেঁধে ফেলতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা হাসারাঙ্গার। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন তিনি। এছাড়া শানাকা শিকার করেন ২টি উইকেট। আর আকিলা ধনাঞ্জয়া কোনও উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১১ রান।
জবাবে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধীরগতিতে শুরু করে শ্রীলঙ্কা। রাহুল চাহারের দুর্দান্ত এক ফিরতি ক্যাচে দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলীয় অর্ধশতক পূরণ করতে ৬৮টি বল খরচ করতে হয় শ্রীলঙ্কা। রাহুলের ৪ ওভারেই হিমশিম খায় লঙ্কানরা। ১২ ওভারের মধ্যে ৪ ওভার বোলিং করে ১৫ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন রাহুল।
যাতে ওই ১২ ওভারে মাত্র ৫৬টি রান তুলতে পারে শ্রীলঙ্কা। এ অবস্থায় হাসারাঙ্গা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা দ্রুত রান তুলতে থাকেন এবং হাসারাঙ্গা ৯ বলে ১৪ রানে ও ধনাঞ্জয়া ২০ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থেকে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন।
৭ উইকেটের এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করল শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে ৮টি সিরিজ পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারের মুখ দেখল ভারত। ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা হয়েছেন টি-টোয়েন্টি বোলিং র্যাঙ্কে দুই নম্বরে উঠে আসা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ডি সিলভাই।