বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদ-উল আযহার ছুটি শেষে আজ ২৩ জুলাই শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটির দিন থেকে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত দুই সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউনের বিধি বিধিনিষেধ।
এসময়ে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন সকল সদর হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিটি মূহুর্তেই রোগীদের চিকিৎসা সেবায় স্বাস্থ্য বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের চিত্র অবলোকন ও দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীদের আরও উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে আজ শুক্রবার পৃথক পৃথক সময়ে বিভাগের ৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।
স্বাস্থ্য পরিচালকের পি.এ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন জানান, আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল পৌণে ১১টায় চট্টগ্রাম জেলাধীন মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেলা সোয়া ১২টায় কুমিল্লা জেলাধীন চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ১২টা ৫০ মিনিটে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আসার পথে বিকেল সোয়া ৫টায় চট্টগ্রাম জেলাধীন সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
পৃথক পৃথক ভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনের সময় উপস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাগণ ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারদেরকে (আরএমও) প্রতিষ্ঠানের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রোগী সাধারণের ডায়েটের দিকে নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।
পরিদর্শনকালে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আগত একজন কোভিড-১৯ সাসপেক্টেড রোগীকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের নির্দেশনায় তাৎক্ষনিক অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হয় এবং রোগীর অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জরুরী বিভাগে অবস্থান করেন তিনি। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ১৭জন কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনায় বিভাগের প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারী হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন, হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা, আইসিইউ বেডসহ অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জামের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। এর পরেও করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ঘরের বাইরে সবসময় মাস্ক পরিধান ও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ আমরা সকলে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে করোনা যুদ্ধে জয়ী হবো।