করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ ৯৫৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মোট ২ হাজার ৬৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মৃত ১০ জনের মধ্যে ৪ জন নগরের ও ৬ জন উপজেলার।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯৫৫ জনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ হাজার৭৮৪ জন। নতুন ১০ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা ৭৯০ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে সোমবার (১২ জুলাই) রাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিন সরকারি বেসরকারি ১১ টি ল্যাবে সর্বমোট ২ হাজার ৬৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৫৫ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। যাদের ৬৩৬ জন নগরের ও ৩১৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। শতকরা হিসাবে এ হার ৩৬ দশমিক ০৫ শতাংশ।
এই দিন ১১টি ল্যাবে ২ হাজার ৬৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৩ জনের মধ্যে ৭৯ জন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৬৯৮ জনের মধ্যে ২১০ জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪০০ জনের মধ্যে ১৩০ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২২৯ জনের মধ্যে ৮২ জন, ৬৫৪ জনের এন্টিজেন টেস্টে ২৩৬ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ১৫১ জনের মধ্যে ৬৮ জন, শেভরণে ১৫৭ জনের মধ্যে ৪৪ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৫২ জনের মধ্যে ৩১ জন, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৪২ জনের মধ্যে ২৫ জন এবং ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১০২ জনের মধ্যে ৬০ জনের করোনা পজেটিভ ফল পাওয়া যায়। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাপসপাতালে একজনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও তা নেগেটিভ আসে।
এদিন উপজেলার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা— লোহাগাড়ায় ৮ জন, সাতকানিয়ায় ৯ জন, বাঁশখালীতে ৯ জন, আনোয়ারায় ১৫ জন, চন্দনাইশে ১১ জন, পটিয়ায় ২১ জন, বোয়ালখালীতে ২৬ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৮ জন, রাউজানে ৩৫ জন, ফটিকছড়িতে ৩০ জন, হাটহাজারীতে ৩৬ জন, সীতাকুণ্ডে ৫০ জন, মিরসরাইয়ে ২৭ জন ও সন্দ্বীপে ১৪ জন।