চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন কনভেনশন হল ও ডেকোরেটার্সের ৩’শ শ্রমিকের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১০ জুলাই শনিবার সকাল ১১টায় এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল-৭ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি লবন, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও ১টিঁ সাবান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুক, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন চৌধুরী দুলাল ও কোষাধ্যক্ষ সাজেদুল আলম মিল্টন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, করোনা প্রতিরোধে মন্ত্রী পরিষদ ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে সকল কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল ও ডেকোরেটার্সগুলো বন্ধ থাকার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বয়, শ্রমিক-কর্মচারীরা একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছে।
এ বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে কর্মহীন প্রত্যেক শ্রমিককে সরকারী ত্রাণের আওতায় আনা হচ্ছে। আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবেনা।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে সমাজের অস্বচ্ছল কেউ যাতে অভূক্ত না থাকে তা দেখার জন্য জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা আমাদের সকলের প্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সমাজের কর্মহীন মানুষের পাশাপাশি অসহায় নির্মাণ শ্রমিক, ছিন্নমুল, দুস্থ, হিজড়া জনগোষ্ঠী, সেলুন কর্মচারী, বেদে, হতদরিদ্র পরিবারকে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন অসহায়-অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।
ডিসি বলেন, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে সংকোচবোধ করছে বা সাহায্য চেয়ে সরকারী ৩৩৩ নম্বরে ফোন ও আমাদের কাছে এসএমএস করছেন প্রত্যেক রাতে তাদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।