বান্দরবানে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১

বান্দরবান সদর উপজেলার ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নে মাঝের পাড়ায় গ্রামে নিকটবর্তী হরিণ মারা নামক স্থানে বাগানে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আহত ব্যাক্তির নাম ক্যচিং মারমা (৫৪)। মাঝের পাড়া গ্রামে ক্যপ্রঅং মারমা ছেলে। তিনি বর্তমানে সুয়ালক ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।

১০ জুন, শনিবার সকালে ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নে মাঝের পাড়ায় গ্রামে ঘটনার সুত্রপাত হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঝের পাড়া গ্রাম হতে ১ কিলো দূরে কচিং মার্মার নিজের বাগান রয়েছে আনুমানিক ১৫টি গাছ বিক্রি করার জন্য অনুমোদন নেয়ায় গাছে চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। চিহ্নত গাছের মধ্যে একটি সেগুন গাছ কেটে ফেলে মাটিতে রাখা হয়েছে। তবে চিহ্ন রয়েছে ১০-১৫ টি সেগুন গাছের যার আনুমানিক মুল্য ৬০ হাজার হতে ১লক্ষ টাকা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বাগানের চিহ্ন দেয়া গাছ গুলো ক্যচিং মার্মার নামে রয়েছে। বর্তমানে তার নিজস্ব বাগানে সেগুন গাছ রয়েছে প্রায় একশ এর উপরে। কিন্তু ক্যচিং মারমার বাগানের গাছ দখলে জন্য জোর দেই অংসিংওয়াই মারমা(৩০) নামে একই এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দা।

এর আগেও ক্যচিং মার্মার বাগানের ১০টি সেগুন গাছ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করে দেয় অংসিংওয়াই নামের ঐ ব্যাক্তি।পরে সেই গাছ দখলে নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে ক্যচিং মার্মার উপর অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জন সন্ত্রাসী দ্ধারা তার পরিবারের আরো তিন থেকে চারজন সহ হামলা করে। এতে গুরুতর অবস্থায় বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ক্যচিং মার্মাকে।

এইদিকে ঘটনাটি নিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অংসিং ওয়াই নামে যুবকটি ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে পরিচয় দেন।

কিন্তু এই ব্যপারটি নিয়ে ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি বুত্তু তংচগ্যা সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অংসিং ওয়াই নামে ছেলেটি কোন পদে নাই বলে জানান।

সরজমিনে বান্দরবান সদর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন ক্যচিং মার্মা কে দেখতে গিয়ে দেখা যায় বাগানের মালিক ক্যচিং মারমা(৫৪) কিছু বলতে না পারায় তার ছেলে ক্যমং থোয়াই মারমা (২৯) জনান, আমাদের বাগানে গাছ গুলো তারা জোর ভাবে আমার বলে দখল করছে। এর আগেও আমাদের বাগানে ১০টি গাছ বিক্রি করে দিয়েছে তারা। পরে সেটি থানায় মামলা করা হলে তাদের অনুরোধে সেই খানে সমাধান করা হয়। আজ সকালে দেখি যে আবার ও জোর পুর্বকভাবে গাছ কাটার বাধা দিলে তারা দুইতিনজন বাবা উপর আক্রমণ করে।

এইদিকে ৪নং সুয়ালক ইউপি চেয়ারম্যান উক্যনু মারমা বলেন, এই ঘটনা ব্যপারে আমি জানি নাহ। আমি অফিসে কাজে ব্যস্ততার মাঝে আছি। তবে যারা অপরাধ করেছে তাদেরকে অবশ্যই আইনে আওয়াতায় এনে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত বলে আমি মনে করি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img