হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসিকে যে দলটি হত্যা করেছে তাদের বেশিরভাগই কলম্বিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওই ‘হিট স্কোয়াডে’র সদস্যদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার ও দুইজন হাইতিয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন হাইতির পুলিশপ্রধান লিওন চার্লস।
এদের মধ্যে দুই মার্কিনিসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে ও আটজন পলাতক। দলটির বাকি সদস্যরা রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আটকদের মধ্যে কয়েকজনকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়; এসময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্রশস্ত্র এবং কলম্বিয়ার পাসপোর্ট দেখায় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
‘এ বিদেশিরা প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে আমাদের দেশে আসে। আমরা তদন্ত ও পলাতক আট ভাড়াটে সেনাকে ধরতে অভিযান আরও জোরদার করবো,’ বলেছেন চার্লস।
বুধবার দিবাগত রাতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হানা দিয়ে একদল বন্দুকধারী মইসি এবং তাঁর স্ত্রীর ওপর গুলি চালায়।
কর্তৃপক্ষ পরে ঘটনাস্থল থেকে মইসি মৃতদেহ উদ্ধার করে; তাঁর গুলিবিদ্ধ স্ত্রী মার্টিনকে ফ্লোরিডায় উড়িয়ে নেওয়া হয়। মার্টিনের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের ওপর এই হামলার পরিকল্পনা কারা করেছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ বিবিসিকে বলেছেন, হাইতির অভিজাত ধনীদের বিরুদ্ধে মইসি লড়াই-ই তাঁকে ‘টার্গেটে’ পরিণত করতে পারে।
এদিকে হাইতির তদন্ত কার্যক্রমে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে কলম্বিয়া। আর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাইতিতে তাদের কোনো নাগরিক আটক হয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি তারা।
প্রেসিডেন্টকে হত্যার এ ঘটনা সহিংসতা কবলিত দরিদ্র ক্যারিবীয় দেশটিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পোর্ট-অ-প্রিন্সের বিভিন্ন সড়কে ক্ষুদ্ধ নাগরিকদের ভিড় দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি গাড়ি পোড়ানোরও ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সন্দেহভাজনদের যে থানায় আটকে রাখা হয় তার বাইরেও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা গেছে। দেশটিতে জরুরি অবস্থাও জারি আছে।
এন-কে