পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন কলকাতার হাইকোর্ট। আজ বুধবার (৭ জুলাই) এ জরিমানা করে নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করার অভিযোগে তাকে জরিমানা করা হয়। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই জরিমানার অর্থ জমা দিতে হবে রাজ্য বার কাউন্সিলে। যা পরবর্তীকালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। বিচারক সরে যাওয়ায় নন্দীগ্রামের এই মামলা এখন কোন বেঞ্চে যাবে তা ঠিক করবেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।
নন্দীগ্রামে ভোটের ফল গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ভোট পুনর্গণনার দাবিও জানান তিনি। কিন্তু নন্দীগ্রাম মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে উঠতেই আপত্তি তুলে তার দল তৃণমূল।
তাদের দাবি, বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপির পূর্ব যোগ রয়েছে। ফলে নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এই মামলা অন্য বেঞ্চে সরানোর আবেদন করা হয়।
এদিকে, মামলার রায় ঘোষণার পর মমতা ব্যানার্জীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর মতো একজন সাংবিধানিক প্রধানকে জরিমানা করার বিষয়টি লজ্জাজনক ঘটনা। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ব্যবস্থা করছি।’
মমতাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ব্রায়েন টুইটে লেখেন, ‘আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বাস করছি যেখানে সত্যি কথা বলার জন্য ৫ লাখ টাকা দিতে হয়। আমরা এমন একটা পৃথিবীতে বাস করি যেখানে মিথ্যে প্রচারের জন্য কোনো দাম দিতে হয় না। প্রসঙ্গটা ধরা গেল? মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় (মোদী থাকলেই সম্ভব)।’