দেশে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ায় আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলের ওপর বিধিনিষেধও বেড়েছে। তবে, শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক টিকিটধারী যাত্রীদের ঢাকায় আসার সুযোগ দিতে অভ্যন্তরীণ রুটে দেশি এয়ারলাইনসগুলোকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, আগামী ৮ জুলাই প্রথম প্রহর থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে। মেডিকেল-সামগ্রী ও ত্রাণ পরিবহনসংক্রান্ত ফ্লাইট চলাচল এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
এসব ফ্লাইট পরিচালনার সময় জীবাণুনাশক কার্যক্রম, সামাজিক দূরত্বসহ সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার নির্দেশনা দিয়েছে বেবিচক।
দেশে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই বিধি নিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই বিধিনিষেধের মধ্যে অন্যান্য গণপরিবহনের মতো বন্ধ রাখা হয় অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল। তবে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট স্বাভাবিক রয়েছে।
বেবিচক জানায়, শুধুমাত্র বিদেশগামীদের আনা-নেওয়া করতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালাতে পারবে দেশি এয়ারলাইনসগুলো। যেসব যাত্রীর আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট রয়েছে, তাদের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালাতে পারবে তিন দেশি অপারেটর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, নভোএয়ার এবং ইউএস বাংলা। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরাও এই ফ্লাইট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট ছাড়া অন্যদের পরিবহন করা যাবে না। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্রু এবং যাত্রীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
দেশে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে ৭ দিনের লকডাউন চলছে। এই বিধিনিষেধের মধ্যে অন্যান্য গণপরিবহনের মতো বন্ধ রাখা হয় অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল। তবে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট স্বাভাবিক রয়েছে।
এন-কে