চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় লকডাউনের সময় রোগী দেখতে যাওয়া চিকিৎসককে জরিমানা করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রবিবার (৪ জুন) বিকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ দেয়া হয়। সাতকানিয়া থেকে প্রত্যাহার করে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার (২ জুন) বিকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকায় ডা. ফরহাদ কবিরকে চেম্বারে যাওয়ার পথে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। চিকিৎসকের হেলমেট ও গাড়ির লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে মোটরযান আইনে মামলা দেয়ার কথা বললেও মামলায় অপরাধ হিসেবে দণ্ডবিধি ২৭০ ও ২৭১ উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান বলেন, ‘সাতকানিয়ার ইউএনওকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তার স্থলে আপাতত দায়িত্ব পালন করবেন সাতকানিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) আল বরিশরু ইসলাম।’
জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত এক আদেশে সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। একই আদেশে হবিগঞ্জের ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ আদেশ দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, গত শুক্রবার বিকালে সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকায় ডা. ফরহাদ কবির নামে এক চিকিৎসককে রোগী দেখতে যাওয়ার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ আইনে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। এসময় চিকিৎসকদের চেম্বারে আসা-যাওয়ায় কোনো নিষেধ না থাকার কথা জানালে ওই চিকিৎসকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে জেলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বলে হুমকিও দেন। গত শনিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন চট্টগ্রাম বিএমএ নেতারা। এ নিয়ে গতকাল বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনদের মধ্যে আলোচনাও হয়।