বৈশ্বিক মহামারী করোনা মোকাবেলায় সরকারের মন্ত্রী পরিষদ কর্তৃক ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন আজ ১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর প্রবেশ ও বাহিরসহ মোট ২০টি পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়ে সড়কে চলাচলকারী প্রাইভেট যানবাহন ও রিক্সা ভ্যানে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
লকডাউন শতভাগ বাস্তবায়নে নগরীর টাইগার পাস, জি.ই.সি মোড়, ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, বহদ্দার হাট, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু চত্তর, আগ্রাবাদ চৌমুহনী, বাদামতল, বারিক বিল্ডিং মোড়সহ বিভিন্ন চেক পোস্টে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করেন সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ।
এসময় সড়কে চলাচলকারী কিছু কিছু প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেল ও রিক্সা ভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
একইসাথে করোনা মোকাবেলায় মাস্ক বিতরণসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা দেয়া হয়। টাইগার পাস চেক পোস্টে তল্লাশী অভিযান পরিচালনাকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এন.এম নাসিরুদ্দিন, টি.আই (কোতোয়ালী) প্রশান্ত কুমার দাশ, টি.আই (টাইগার পাস) শেখ ফরহাদুজ্জামান, ট্রাফিক সার্জেন্ট জাকির হোসাইন, ট্রাফিক সার্জেন্ট মোঃ ওয়াসিম আরাফাত, ট্রাফিক সার্জেন্ট আমজাদ হোসেন ও ট্রাফিক সার্জেন্ট ইজাজ আহমেদ।
তল্লাশী অভিযান পরিচালনাকালে সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ বলেন, সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নির্দেশনার আলোকে সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের নেতৃত্বে মহানগরীর ৪টি প্রবেশ ও বাহির পথসহ মোট ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের পক্ষ থেকে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।
সরকারের নির্দেশনা যাতে কেউ অমান্য করতে না পারে সে লক্ষ্যে পুলিশের ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ চেক পোস্টগুলোতে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করছে। সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে অভিযান চলমান থাকবে। প্রাইভেট গাড়ী ও রিক্সা যাত্রী কি কারণে বাসা থেকে বের হচ্ছে তা চেক পোস্টে তদারকি করা হচ্ছে।
যারা করোনার দু’টি ভ্যাকসিন দিয়েছেন তারাও যাতে জরুরী প্রয়োজনে মাস্ক ছাড়া বের না হয় সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জরুরী প্রয়োজনে সড়কে বের হওয়া মোটরসাইকেল চালকদের ‘ওয়ান বাইক ওয়ার মোটর সাইকেল’ নিশ্চিতসহ যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, কঠোর লকডাউনে সব ধরণের যান্ত্রিক গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ সময়ে যে সকল গার্মেন্টস, কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে ঐসব প্রতিষ্ঠান নিজ দায়িত্বে গাড়ির ব্যবস্থা করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আনয়ন করবে।
করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরিধান ও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করতে চাই।