ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটেছে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সুইজারল্যান্ড। নির্ধারিত সময় ৩-৩ গোলে সমতা পর পেনাল্টি শুট আউটে ৫-৪ এ জিতে যায় সুইসরা। তাতে ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে জয়ের উল্লাসে মেতে উঠে তারা।
সোমবার (২৮ জুন) রাতে রুমানিয়ার বুখোরেস্টে শেষ ষোলোর ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু’দল। ম্যাচের প্রথমার্ধে নিজেদের মেলে ধরতে না পারা ফ্রান্স বিরতির পর খোলস থেকে বের হয়। তবে শেষ ১০ মিনিটে ম্যাচে ফিরে সুইসরা নিজেদের টিকিয়ে রাখে। এদিকে, টাইব্রেকারে গোল করতে পারেননি ফ্রান্সের সেরা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে।
১৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। স্টেভেন জুবেরের ক্রস থেকে লংলেকে ছাপিয়ে হেডে গোল করেন হারিস সেভেরোভিচ। পরে বিরতির আগে কোনো দলই আর গোলের দেখা পায়নি।
বিরতির পর বেনজেমার গোলে সমতায় ফেরে ফ্রান্স। ৫৬তম মিনিটে এমবাপ্পের পাস থেকে চিপ করে গোলটি আদায় করেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। এর দুই মিনিট পর এই স্ট্রাইকার ফরাসিদের এগিয়েও দেন। আঁতোয়া গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে হেডের মাধ্যমে গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
আক্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ফ্রান্স ৭৪তম মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে। বেনজেমার করা শট আটকে দিলেও ফিরতি শটে পল পগবা ডান দিক দিয়ে গোলটি করেন। পিছিয়ে পড়ে দিশেহারা সুইজারল্যান্ড ৮০তম মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্যবধান কমায়। এমবাবুর ক্রস থেকে হেডের মাধ্যমে নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন সেফেরোভিচ।
আর ম্যাচের শেষ মিনিটে চমক দেখায় দলটি। বাঁ দিক থেকে মারিও গাভরানোভিচ গোলটি করেন। সেই সঙ্গে নিজেদের ম্যাচে বাঁচিয়ে রাখেন। যদিও যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে জয় নিশ্চিত করার সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু কিংসলে কোম্যানের ভল্যি পোস্টে বাধা পড়ে।
মূল ম্যাচের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে দুদল আরেও বেশ কয়েকটি চেষ্টা করলেও গোল হয়নি। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। তারপর তো ইতিহাস সৃষ্টি করে সুইসরা।
১২০ মিনিটের লড়াইয়ে গোলের উদ্দেশে মোট ২৬টি শট নেয় ফ্রান্স, যার আটটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে সুইসদের ১২ শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।