করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন শুরুর আগে আগামী তিন দিনের সীমিত লকডাউন (বিধিনিষেধ) দিয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার এই তিন দিনে বিধি-নিষেধে কী কী খোলা থাকবে, কী কী বন্ধ থাকবে, তা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষে আগামী ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা রয়েছে।
সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে। এ সময় কেবল প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে আনা যাবে। অফিস নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেয়া করবে।
লকডাউনে সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বন্ধ ধাকবে শপিংমল, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র। হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও বসে খাওয়া যাবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন পাঁচটি শর্ত সংযুক্ত করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
শর্তগুলো হলো-
১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধু অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।
৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেয়া করতে হবে।
৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরর জন্য প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সোমবার থেকে সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ জারির ঘোষণা শুক্রবার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবার জানানো হয়, সেই লকডাউন ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।
ভারতে উদ্ভুত ডেল্টা ধরনের সংক্রমণে সীমান্ত জেলাগুলোতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে একটানা ১৪ দিন ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’ ঘোষণার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি।
তার প্রেক্ষিতে নতুন করে ‘কঠোর লকডাউন’ আসছে।