দেশে জনসন অ্যান্ড জনসনের (জেনসেন ক্লেগ ইন্টারন্যাশনাল) উৎপাদিত ভ্যাকসিন জেনসেন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর মঙ্গলবার এই অনুমোদন দেয়।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ টিকার অনুমোদনের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ভ্যাকসিন ব্যবহারে ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশনের আবেদন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়নপূর্বক কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে ওষুধ, ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ, ভ্যাকসিন এবং মেডিক্যাল ডিভাইস মূল্যায়নের নিমিত্তে গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন প্রদান করেছে।
গত ১২ মার্চ ভ্যাকসিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ও ১১ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন জরুরি ব্যবহারে জানসেনের টিকার অনুমোদন দেয়।
ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর এবং তার উপরের বয়সের ব্যক্তির জন্য ব্যবহারযোগ্য। বেলজিয়ামে তৈরি ভ্যাকসিনটি এক ডোজের, এটি সরকারের ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রদান করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এর সংরক্ষণ তাপমাত্রা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।