করোনাকালেও থেমে নেই ইয়াবা পাচার। মিয়ানমার থেকে টেকনাফের নাফ নদী হয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশে ঢুকে পড়ছে ইয়াবার চালান। আর সেখান থেকে মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের হাত ধরে ইয়াবা ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশব্যাপী। গাড়িতে বা গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ভেতরে আবার কখনো মানুষের পেটের ভেতর নিয়ে নিত্যনতুন কৌশলে পাচার করা হচ্ছে এসব ইয়াবা।
তবে মাদক উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা পুলিশ। প্রতিনিয়ত চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ইয়াবার বড় বড় চালান আটক করতে সক্ষম হচ্ছে।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত মাত্র ৫ মাসেই ৫ লাখ ১৯ হাজার ৪৮০ পিস ইয়াবা, ১৩৪ লিটার চোলাইমদ এবং ৪০০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অভিযানে ১২৩টি মামলায় ১৮৩ জন মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে পুরুষের পাশাপাশি একাধিক নারীও রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। উদ্ধার করা মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য নগদ ৫ হাজার ৫৪০ টাকাসহ মোট ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ২২ হাজার ৬৪৪ টাকা। পাঁচ মাসে মাদক পাচারকাজে ব্যবহার করা ৪৩টি বিভিন্ন গাড়ি জব্দ করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, চলমান করোনার সংকটময় মুহূর্তেও নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ, মামলা তদন্ত, নানা অভিযোগ তদন্ত, বিভিন্ন মামলার আসামি গ্রেপ্তার সহ নিয়মিত দায়িত্বপালনের পাশাপাশি থানা পুলিশ মাদক পাচার রোধে কাজ করে যাচ্ছে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জাকারিয়া রহমান জিকু বলেন, লোহাগাড়া থানা পুলিশ মাদক উদ্ধারে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। তারা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। তাই অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম কিবরিয়া শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী কর্মকর্তা হিসেবে সম্মাননাও পান।
এন-কে