সরকারের অনুমতি না নিয়ে বাংলাদেশি কেউ ইসরায়েল গেলে আইনের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (২৬ মে) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করি না। যতদিন আমরা স্বীকৃতি না দিচ্ছি, ততদিন কোনো বাংলাদেশি সেদেশে যেতে পারবে না। কোনো বাংলাদেশি সেখানে গেলে শাস্তি পেতে হবে।
ফিলিস্তিনকে ওষুধসামগ্রী উপহার হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি এবাদুল করিম।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পরীক্ষিত বন্ধু। ১৯৭২ সাল থেকেই আমরা তাদের পাশে থেকেছি। বাংলাদেশের কোনো কোনো গণমাধ্যম পাসপোর্ট সংশোধন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তবে ইসরায়েল নিয়ে আমাদের অবস্থান খুব সুস্পষ্ট। ফিলিস্তিন নীতিতে আমাদের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এসব সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
এর আগে ২৩ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানা যায়, ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবত আছে এবং ইসরায়েলের প্রতি বাংলাদেশের অবস্থান বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। এই ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে কারণ সম্প্রতি বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত যে বক্তব্যটি ছিল সেটি বাদ দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের রেজুলেশন অনুযায়ী দুই রাষ্ট্র নীতির প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও বাংলাদেশি পাসপোর্টে আগে লেখা ছিল ইসরায়েল ছাড়া সমগ্র বিশ্বেই প্রযোজ্য। কিন্তু নতুন ই-পাসপোর্টে ইসরায়েল কথাটি লেখা নেই বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী। তবে ইসরায়েলের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবত রেখেছে বাংলাদেশ।