বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আঘাত হানলে নগরের উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোতে ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (নম্বর: ০৩১ ৬৩৩৬৪৯) খোলা হয়েছে। মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৪ হাজার সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
চসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির প্রধান কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম বলেন, পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলীসহ উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি আমরা। এসব এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং দামপাড়ায় চসিকের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে, আবহাওয়া অধিদফতরের সংকেতের ওপর নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেত মাইকিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক ১০) বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও পায়রা বন্দর থেকে ৪৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। ইয়াসের কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।