ফেনী, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪:
দেশের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যার পর পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। বেড়েছে ডায়রিয়া, চর্মরোগ, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক।
চিকিৎসার প্রয়োজনে ফেনী জেলার একটি হাসপাতালে এসেছেন আসমা আক্তার। কিন্তু সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
“বেলা ১১টায় হাসপাতালে আসছি, কিন্তু এখনো কোনো ডাক্তার পাইনি। রোগীকে নিয়ে জরুরি বিভাগে গিয়েছিলাম এবং সেখান থেকে রোগীকে ভর্তি করা হয়।”
হাসপাতাল থেকে ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে রোগীদের।
“আমি আজকে ১০টায় আসছি, আমার রোগীর ডায়রিয়া ও বমি হচ্ছে। রোগীর সব ওষুধ আমাদের বাইরে থেকে কিনতে হবে। সে হাসপাতাল থেকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছে। আমাদের কাছে আছে। বাকি সব ওষুধ বাইরে থেকে আনতে।”
“আমার বাচ্চার কাশি এবং ডায়রিয়া হয়েছে এবং এখন চার দিন ধরে অসুস্থ, কিন্তু সকাল ৯টায় টায় এখানে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা ব্যবস্থা মোটামুটি ভালো। আমরা ডাক্তারদের চেম্বারে গিয়েছিলাম। কিন্তু হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কোনো ডাক্তার দেখা যায়নি।”
বলছিলেন ফাতেমা ও ফারহানা আক্তার।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার প্রায় ১০ গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র। শয্যা সংকটে মেঝে ও ওয়ার্ডের বাইরে গাছতলায় চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।