অনুমতি ছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের করা অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ৫ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৩ মে) ঢাকার সিএমএম আদালত এ আদেশ দেন। আদেশের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তদন্তে যেই নির্দোষ বা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (২৩ মে) সকালে গুলশানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক রোজিনার মামলা প্রত্যাহারের দায়িত্ব আইন মন্ত্রণালয়ের নয়। এটা প্রত্যাহারের দায়িত্ব যারা মামলা করেছে তাদের। এ ছাড়া মামলা প্রত্যাহার করতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আনিসুল হক আরও বলেন, মামলা যখন হয়েছে এটা প্রত্যাহার না করে তদন্ত করাটাই বড় কথা। তদন্ত করে যদি কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হয় আর কেউ যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা তদন্তের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।
সাংবাদিক সুরক্ষা আইন ও গণমাধ্যম আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এই দুটো আইনের একটি ড্রাফট আপনারা আমাকে পাঠাতে পারেন। আমি তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এটার একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।
গত মঙ্গলবার (১৮ মে) দুপুরে অনুমতি ছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মোহাম্মদ জসিম এ নির্দেশ দেন।
এর আগে রোজিনার বিরুদ্ধে করা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের করা অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট মামলা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক।
এদিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন অব্যাহত রেখেছিল বিভিন্ন সংগঠন।
প্রসঙ্গত, সচিবালয়ে অনুমতি ছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার পরে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি টিম সচিবালয় থেকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে যায়। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিব্বির আহমেদ ওসমানী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।