ক্ষমতার পালাবদলে বাংলাদেশের শাসনভার নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার কথা শোনার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ মুখপাত্র ফারহান হক সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং সংসদ নির্বাচন আয়োজনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, আন্তোনিও গুতেরেস তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ যেহেতু সংসদ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, জাতিসংঘ মহাসচিব অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান রেখেছেন, আগামী দিনগুলোতে যেন এ সরকারের সকল প্রচেষ্টা অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়; নারী, যুব সমাজ, সারা দেশের মানুষ এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কথা যেন আমলে নেওয়া হয়।”
মুখপাত্র বলেন, “জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের মানুষকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবেন। তাদের মানবাধিকার যেন নিশ্চিত করা হয়, সেই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।“
ছাত্র জনতার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার পূর্ণাঙ্গ, স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত যেন হয়, সে বিষয়ে আবারও তাগাদা দিয়েছেন আন্তোনিও গুতেরেস।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।
এরপর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনের একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। তাদের ওপর পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ভার থাকলেও সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা এখনও দেওয়া হয়নি।
সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের উপ মুখপাত্র ফারহান হক বাংলাদেশ বিষয়েও কথা বলেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ, দেশে আইন-বিচার এবং কার্যকর অর্থনীতি এবং গণতন্ত্র পুনর্গঠনে জাতিংসঘের দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ব্রিফিংয়ে।
জবাবে ফারহান হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। আমরা আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক শাসন ফিরিয়ে আনতে তারা সক্ষম হবে।
ছাত্র আন্দোলনের সময় সাংবাদিকসহ, সাধারণ মানুষের হামলার শিকার হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফারহান বলেন, “আমরা যে কোনো ধরনের হামলার বিপক্ষে। সেই হামলা যে কোনো জায়গায়, যে কারোর ওপরই হয়ে থাকুক না কেন।”
এমজে/