আজ শনিবার বেলা তিনটায় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ শুরু হয়। এর দেড় ঘণ্টা আগে বেলা দেড়টা থেকেই আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন, মিছিল করছেন।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও এই কর্মসূচিতে আসছেন। তাঁরা শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শহীদ মিনারের দিকে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে মিছিল নিয়ে নিউমার্কেট হয়ে শহীদ মিনারের দিকে যাত্রা শুরু করেন শিক্ষর্থীরা।
সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শহীদ মিনারে যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্গণ শপিং কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের দেখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ভুয়া-ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে দুপুর ১২টা ২০মিনিট থেকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে, রামপুরা, আফতাবনগরে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরাও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার অভিমুখে রওনা দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষও এই কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। এ সময় শহীদ মিনারে আসা আন্দোলনকারীদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গান গাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ‘আর্টসেল, শিরোনামহীন, জলের গান, ওয়ারফেজ, মাইলস, চিরকুট, অ্যাশেজ’— সাতটি ব্যান্ড। তবে তারা আজ গান গাইবেন না সেখানে। তারাও রওনা দিয়েছেন শহীদ মিনারে।
শহীদ মিনারে আসা আন্দোলনকারীরা ‘বাংলাদেশের জনগণ, নেমে আসুন নেমে পড়ুন’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’- এ রকম নানা স্লোগান দেন।
এ সময় শহীদ মিনারে আসা আন্দোলনকারীদের হাতে ‘গণহত্যার দায়ে খুনিদের বিচার করা হবে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
শহীদ মিনার ও এর আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।
এর আগে শুক্রবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা শনিবার বিকেল ৩টায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান।
এমজে/