চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী এবং অন্যজন পথচারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম ওয়াসিম আকরাম (২৩) ও পথচারীর মো. ফারুক (৩৩)। দুজনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজন আহত হয়েছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ। তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন পথচারী, অপরজন ছাত্র। নিহত ছাত্রের শরীরে আঘাত নেই। পথচারীর শরীরে আঘাত রয়েছে। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এই সংঘর্ষ শুরু হলেও তা ছড়িয়ে পড়ে বহদ্দারহাট থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত। কয়েক কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। একপক্ষ অপরপক্ষের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকাল ৩টা থেকে নগরীর ষোলশহর স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের কথা ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনরীদের। এর আগেই ষোলশহর স্টেশন দখল করে রাখেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে কোটা আন্দোলনকারীরা মুরাদপুরে অবস্থান নেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ষোলশহর থেকে মিছিল নিয়ে মুরাদপুর গেলে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হন।
নিহত আবু সাইদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে।
এমজে/