শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে খালেদা জিয়া

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভোররাতে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটির ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শনিবার (২২ জুন) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানিয়েছেন।

শায়রুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাত ৩টা ৩০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। সঙ্গে চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আছেন।

প্রেস উইং সূত্রে জানা যায়, রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার শরীরে ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। পরে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পর হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হয়েছে।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। এর আগেও বিভিন্ন সময় হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সবশেষ গত ২ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বেগম জিয়াকে। ওই সময় চিকিৎসকেরা তাঁকে সিসিইউতে রেখে দুই দিন চিকিৎসা দেন। এর আগের মাসেও ২ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

গত ২ মে খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে আনার পর সাংবাদিকদের তাঁর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ব্রিফ করেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন না। তাই বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে সরকারের প্রতি আবারো আহ্বান জানান তিনি।

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। ২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিলে নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে মুক্তির শর্তে বিদেশ যাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে।

চিকিৎসকরা বিদেশে নিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও দল কিংবা পরিবার সেটা পারছে না। সরকারের কাছে বেশ কয়েক বার আবেদন করলেও সাড়া মেলেনি। সরকার বলছে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। আদালতে আবেদন করেও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পাননি বিএনপি চেয়ারপারসন। ফলে দেশের চিকিৎসার ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img