‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা টেকনাফসহ ৫ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় আজ শুক্রবার থেকে ১০ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর মধ্যে কুতুপালংয়ের পাঁচটি মেগা ক্যাম্পেও ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ চৌধুরী জানান, কক্সবাজার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে আজ ২১ মে থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এই উপজেলায় কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে। এ বিষয়ে উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে।

এছাড়া হঠাৎ করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ের পাঁচটি মেগা ক্যাম্পে আজ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামসুদ্দৌজা জানান, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় টেকনাফের ২৪ নম্বর এবং উখিয়ার ২, ৩, ৪ ও ১৫ নম্বর ক্যাম্পে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ক্যাম্পে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ওষুধ ও খাবারের কার্যক্রম চলমান থাকবে।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের প্রধান স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তা ডা. তোহা জানান, গতকাল ২০ মে পর্যন্ত ৪১ হাজার ৪৭৭ জন রোহিঙ্গার নমুনা পরীক্ষা করে কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৯১৩ জন রোহিঙ্গার দেহে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ১২ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, এতদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা পরিস্থিতি ভালো থাকলেও চলতি মে মাসে অবনতি হয়। গত ১৪ মে থেকে গতকাল ২০ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহে ১৬৫ জন রোহিঙ্গার দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নিয়েছিল চার লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখের বেশি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img