দুর্ঘটনায় প্রাণহানি রোধে ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সংবাদমাধ্যমে আজ সোমবার পাঠানো বার্তায় এ দাবি জানান যাত্রী স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার মনিটরিংয়ের দুর্বলতা ও কিছু অসাধু পরিবহন মালিক বেশি মুনাফার আশায় ফিটনেসবিহীন বাস, ট্রাক ও লঞ্চ ঈদযাত্রায় যাত্রী পরিবহনের জন্য পথে নামানোর প্রস্তুতি নিয়েছে—এমন খবর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সচিত্র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। গুটিকতক অসাধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ম্যানেজ করে এসব যানবাহন প্রতি বছর ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে থাকে। এ ছাড়াও বাস ও লঞ্চে ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন কম ভাড়ায় যাতায়াতের আশায় এসব ফিটনেসবিহীন বাস, লঞ্চ ও পণ্যবাহী পরিবহনে যাত্রী হতে বাধ্য হচ্ছে।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও প্রকৃতপক্ষে ঈদে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার কারণে প্রতি ঈদে পথ দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বিগত ঈদুল ফিতরে ৩০৪ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত, ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল।
‘বিআরটিএর পক্ষ থেকে সারা দেশে পাঁচ লাখ ফিটনেস যানবাহনের তথ্য কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে দিয়েছিল। এ ছাড়াও নৌপথে কয়েক হাজার ফিটনেসবিহীন নৌযান ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের বহরে যোগ দেয়। বিআরটিএ ও বিআইডব্লিউটিএ এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে প্রতি ঈদে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এবারের ঈদযাত্রার বহরে এমন যানবাহন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন যাত্রী অধিকার সুরক্ষায় নিয়োজিত সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।’
এমজে/