স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ চেয়েছিলেন, জনগণের পুলিশ হওয়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই পুলিশ আমরা গড়তে পেরেছি। সেজন্য আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পেরেছি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁকে সংবর্ধনা দেয় তেজগাঁও শিল্পমালিক সমিতি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তেজগাঁও তখন (৮ সালে) কঠিন অবস্থায় ছিল। তখন বড়-বড় গার্মেন্টস ছিল। ওই শিল্প ও শ্রমঘন ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো আমাদের জন্য বোঝার ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখন আমরা তুলে ধরলাম।
তারপর ওখানে উন্নয়ন হয়েছে। ইম্পালস হাসপাতাল, আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। হাতিরঝিল যখন হলো, তখন যাদের বাড়ি-ঘর চলে গিয়েছিল তখন কান্নাকাটি করেছিল। কিন্তু যখন সুন্দর হাতিরঝিল হলো, তখন তারা আত্মতৃপ্তি অনুভব করেন।
আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই এলাকাকে নিরাপত্তার চাদর দিয়ে ঢাকতে পেরেছি। এজন্য পুলিশ কর্মকর্তারা প্রশংসার দাবিদার। ’
তিনি বলেন, ‘১৫ বছর আগে আমরা যে পুলিশ দেখেছি, এখন কিন্তু তাঁরা সেই পুলিশ নয়। তাদের দক্ষতায়, অভিজ্ঞতায় ও দেশপ্রেম অনেক অনেক ঊর্ধ্বে। সেজন্য আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারছি।
সেজন্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেমন মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হবে তেমনি এলাকা যদি নিরাপদ না করতে পারি তাহলে আমাদের চেস্টা বৃথা যাবে। দেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও এগিয়ে নিতে পেরেছি। তারপরেও হয়তো কিছু অসুবিধা আছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ’
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, ‘তেজগাঁও এলাকায় ভবন বানানোর জন্য কেউ ৫০ তলার অনুমতি পায়, আর আমরা পাই ১০ তলা। এখন তেজগাঁও এলাকায় বিমানবন্দর নেই। কিন্তু তখনকার নিয়মটা রয়ে গেছে। যা বৈষম্য সৃষ্টি করছে। এই বৈষম্য দূর করার অনুরোধ করছি। ’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কোহিনূর কেমিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রেজাউল করিম, কল্লোল গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম মোস্তাফাসহ বিভিন্ন গ্রুপ কম্পানির মালিক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এমজে/