আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ বেফাঁস কথা বলে না, বিএনপিই বলে। বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো বেপরোয়া রাজনীতির চালক মির্জা ফখরুল। রাজনীতিতে বিএনপি দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়। অতীতে তাদের এই ইতিহাস আছে। এই দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি তারা বারবার ঘটাতে চায়। এ ছাড়া রাজনীতিতে টিকে থাকার তাদের আর কোনো রসদ নেই।
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাদের হাতে রক্তের দাগ, যারা এ দেশে হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল, মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ড ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল তার মাস্টারমাইন্ড ছিল খন্দকার মোশতাক ও জেনারেল জিয়াউর রহমান।
৩ নভেম্বর জেলহত্যায় জাতীয় চার নেতা, একুশে আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলায় ২৩ জনের প্রাণ ঝরে গেছে। এসব হত্যাকাণ্ড বিএনপির আমলে সংঘটিত করেছিল। এরপর মির্জা ফখরুল হঠাৎ এক বিবৃতিতে কোথা থেকে পেলেন আওয়ামী লীগ নাকি হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে? উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপিয়েছিল নির্বাচনকে সামনে রেখে। ২১ আগস্ট জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল তারা। এমন নাটক তারা বারবার সাজিয়েছে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য। নিজেদের কৃতকর্মের দায় অন্যের উপর চাপাতে তাদের অপকর্ম এখনো অব্যাহত আছে। জেল থেকে বের হয়ে মির্জা ফখরুল যা বলছেন তা এসব নাটকেরই প্রতিধ্বনি।
বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কোথায় ঘুরে দাঁড়াবে সেটা আমাদের জানা নেই। এ কথা আগেও শুনেছি। কোন বছর ঘুরে দাঁড়াবে? আন্দোলনের চৌকস কথার ফুলঝুরি অনেক শুনেছি। সে কথা বারে বারে বলতে গিয়ে বিএনপি নেতারা জনগণের কাছে নিজেদেরকেই খাটো করছেন। দেশে আন্দোলনের কোনো বস্তুগত ইস্যু নেই। তারা গায়ে পড়ে ইস্যু খুঁজে বেড়ায়। জনগণ জেনেশুনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছে। বাস্তবে হতাশা নিরাশা থেকে নিজেদের আত্মতুষ্টির জন্য ও নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে দলটির নেতারা এসব বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
সংকটময় বিশ্বে যারা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ওখানে এখন যেটা দরকার তা হলো ইন্টেলিজেন্স ডিপ্লোম্যাসি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সবপক্ষের গতিবিধি লক্ষ্য করে যুদ্ধকে পরিহার করে শান্তির জন্য ইন্টেলিজেন্স ডিপ্লোমেসি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, পারভীন জামান কল্পনা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, সাবেক সদস্য রিয়াজুল কাউসার, সাবেক ছাত্রনেতা ইসহাক আলী খান পান্নাসহ অন্যরা।
এমজে/